শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৫২ অপরাহ্ন

ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়ের’ ব্যাপক প্রভাব ভারত-পাকিস্তানে

ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়ের’ ব্যাপক প্রভাব ভারত-পাকিস্তানে

স্বদেশ ডেস্ক:

ভারত ও পাকিস্তানের উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’। এর প্রভাবে অনেক বাড়িঘর ভেঙ্গে গেছে, উপড়ে পড়েছে অনেক গাছাপালা। বিদ্যুতের খুঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় কয়েক হাজার মানুষ বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। উভয় দেশে প্রচুর বৃষ্টিপাতের কারণে অনেক এলাকায় ভূমিধস হয়েছে।

বিপর্যয়ের কারণে ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাটে দুইজনের প্রাণহানি ঘটেছে। ঘূর্ণিঝড়ের ফলে সৃষ্ট বন্যার পানিতে ভেসে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে শুক্রবার জানিয়েছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।

গত কয়েক দিনে উভয় দেশ থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

পাকিস্তানের নিকটবর্তী ভারতের গুজরাটের জাখাউয়ের কাছে বৃহস্পতিবার ভূমিধস হয়েছে বলে জানিয়েছে রাজ্যটির আবহাওয়া অফিস।

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় থেকে দুর্বল হয়ে শুক্রবার সকালে উপকূলে আঘাত হানে ‘বিপর্যয়’। ভারতের আবহাওয়া অফিসের সবশেষ বুলেটিনে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ ১০৫ কিলোমিটার থেকে ৮৫ কিলোমিটার পর্যন্ত নেমে আসে। বিকেল পর্যন্ত তা আরো দুর্বল হয়ে পড়তে পারে বলে জানানো হয়েছে বুলেটিনে।

গুজরাটের ভাবনাগর জেলায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মারা যাওয়া দুই ব্যক্তি রাখাল ছিল। তারা তাদের পশুগুলো নিরাপদ স্থানে নেয়ার সময় প্রবল বৃষ্টির পানিতে ভেসে যায়। ঘূণিঝড় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গুজরাটের কুচ জেলার উদ্ধার কার্যক্রমের প্রধান কর্মকর্তা অমিত অরোরা জানিয়েছেন, শক্তিশালী বাতাসের কারণে জেলার অনেক স্থানেই বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটেছে।

ভারতের আবহাওয়া অধিদফতর সতর্ক করে জানিয়েছে যে, গুজরাট ও পার্শ্ববর্তী রাজ্য রাজস্থানে শুক্রবার দিনজুড়ে প্রবল বৃষ্টিপাত হতে পারে।

তবে পাকিস্তানের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সেখানে দুর্বল হয়ে পড়েছে ‘বিপর্যয়’।

কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি দুর্বল হয়ে পড়েছে এবং শুক্রবার বিকেল নাগাদ এটি একটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।

পাকিস্তান আবহাওয়া অধিদফতরর প্রধান সরদার সরফরাজ আলজাজিরাকে বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের প্রভাবে পাকিস্তানের উপকূলীয় এলাকাগুলোতে শুক্রবার ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে, তা শনিবারও অব্যহত থাকতে পারে।

দুর্যোগপূর্ণ এলাকা থেকে ৮২ হাজারের মতো মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে জানিয়ে এ কর্মকর্তা জানান, তাদেরকে শনিবার আবহাওয়ার উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত বাড়িঘরে ফিরতে নিষেধ করা হয়েছে।

গত বছরের বিপর্যয়পূর্ণ মৌসুমী বন্যায় অনেক এলাকা প্লাবিত হয়েছিল। পাকিস্তানের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ পানির নিচে চলে গিয়েছিল। ২০ লাখ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং প্রায় ১ হাজার ৭০০ মানুষ মারা যায়।

সূত্র : আলজাজিরা

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877